ভারতীয় নাটক, জামা, জুয়েলারি থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা আমাদের প্রিয় না। আর ঢাকার ইন্ডিয়ান খাবারের তো জুড়ি মেলা ভার! তারই ফিরিস্তি দিচ্ছি আজকের পোস্টে।
সপ্তাহে ২-১ দিন রান্না ঘরে থাকা আর লাইফস্টাইল চ্যানেল গুলোর সুবাদে সব মশলাই কম বেশি চেনা। খাবার মুখে দিলে আন্দাজ করতে পারি কি কি ব্যাবহার করা হয়েছে। সেই আলোকে আজকে কিছু রেসিপি দিচ্ছি; কলিজায় জোর কম থাকলে বাসায় বসে অল্প পরিচিত ফ্রেন্ডদের সাথে বিরক্তিকর আত্মীয়দের সাথে ট্রাই করতে পারেন ?
এলাকার বড় ভাইয়ের সাথে ভালো খাতির থাকলে এই সেইম জিনিসই নিজের রেস্টুরেন্টে বিক্রি করতে পারবেন।
হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি
১। বাসার কাছের যেকোনো তেহারির দোকান থেকে ১ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি কিনে আনুন।
২। কেওড়া জলের সাথে একটু হলুদ বা হলুদ রং গুলিয়ে মিশিয়ে নিন। ভুলেও জাফরান ইউজ করবেন না। খরচা বেশি হয়ে যাবে।
৩। যেকোনো টাইপের ২-৩ টা বাদাম আর অর্ধেক ডিম কুচি করে ছিটিয়ে নিলেই হয়ে গেল হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি।
সব মিলিয়ে খরচ হবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।
এই জিনিস Santoor, Handi এর মত রেস্টুরেন্ট গুলা ৬৫০-৭০০ টাকা করে বিক্রি করে।
স্পেশাল বিরিয়ানি
উপরে দেয়া হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানির সাথে আগের দিনের রয়ে যাওয়া শর্মা, গ্রিল চিকেন, প্রন কারী মিলিয়ে নিলেই তৈরি!
প্রায় রেস্টুরেন্ট এই জিনিসও ৩৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি করে।
রায়তা/ মিক্সড ফ্রুট রায়তা/ স্পেশাল রায়তা
হাতের কাছে থাকা যেকোনো সালাদের উপর টক দই দিয়ে দিলেই কাজ শেষ। কাস্টোমারের উপর বেশি দয়া হলে বা ফুড ব্যাংকে একটা রিভিউ এর জন্য মনে হাহাকার থাকলে একটু জিরার গুড়া আর ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে দিতে পারেন। ওহ আর কাস্টোমারের গলা কাটা ২০০ টাকা হালাল করার জন্য এক দুই টুকরা আপেল আর বেদানার ২-৩ টা বিচি দিতে ভুলবেন না!
খরচ হবে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ টাকা
জিরা পানি
আধা গ্লাস স্প্রাইটের মধ্যে জিরার গুড়া আর বরফ দিলেই শেষ। দাম যদি ১০০ টাকার বেশি রাখতে চান, তবে দিতে হবে ক্লাসি একটা নাম আর গ্লাসের কানায় একটুকরো লেবু। ব্যাস আমরা ৩০০ টাকা দিয়েও কিনবো।
খাই বা না খাই, ফুড ব্যাংকে একটা ছবি তো অবশ্যই দিবো ?
খরচ হবে সর্বোচ্চ ২০-২৫ টাকা
গুলাব জামুন
এলাকার মিষ্টির দোকানে গিয়ে গোলাপ জাম বা কালো জাম কিনে আনুন। রাজস্থানি ডিজাইন করা স্টিলের বাটিতে করে সার্ভ করবেন আর নাম বলবেন গুলাব জামুন। গোলাপ জাম বা কালো জাম আমরা চিনি না ?।
১ কেজিতে ১৫-১৮ পিস উঠবে। দাম নিবে ১৪০-২০০ টাকা
প্রতি পিস বিক্রি করতে পারবেন ৪৫-১৩০ টাকা
আপাতত সময় স্বল্পতার জন্য এই কয়টা রেসিপি দিলাম। নুডুলস, আলু ভাজা, আলুর দম, সালাদ ওয়ালা পাউরুটি (স্যান্ডউইচ) এগুলো বলে দেওয়ার কিছু নাই। রেস্টুরেন্ট শুরু করে দাওয়াত দেন। সামনে আরও সহজ কিছু আইডিয়া দিবো ?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.